বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, স্বস্তি নেই নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবনে।
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, স্বস্তি নেই নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবনে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, সবজি ও মুরগির দাম বেড়েই চলেছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ডিমের বাজারে। বর্তমানে খুচরা দোকানে ফার্মের একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। এর ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর চাপ বাড়ছে।
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পণ্য সরবরাহ কম এবং বাজার অস্থিতিশীল। বিশেষ করে পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেশ কয়েক মাস ধরে চড়া। আলু প্রতি কেজি ৬০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমনকি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তও কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। আলু আমদানির শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং পেঁয়াজের শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হলেও বাজারে এর কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়নি।
মুরগির বাজারও ক্রেতাদের জন্য বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা হয়েছে। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে, এখন বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।
সবজি বাজারেও একই চিত্র। টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজির। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। ঢ্যাঁড়স, পটোল, ঝিঙা, বরবটি থেকে শুরু করে কাঁচামরিচের দামও আকাশচুম্বী। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। আগাম শীতকালীন সবজির দামও বেশ চড়া, শিম ও ছোট ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ২২০ থেকে ২৮০ টাকা ও ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস দরে। মাছের বাজারে রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশের দাম স্থিতিশীল থাকলেও ইলিশের দাম বেড়েছে। এক কেজি আকারের ইলিশ এখন বিক্রি হচ্ছে ১,৬০০ থেকে ১,৭০০ টাকায়।
এই অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি স্বল্প ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
1 Comments
দাম সহনীয় রাখতে অনুরোধ করছি। জনগণের বিষয় ভাবুন।
ReplyDelete