ভিড়ল কয়লার জাহাজ, উৎপাদনে ফিরছে মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার সঙ্কট কেটে গেছে। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর, দ্রুতই পুনরায় উৎপাদনে ফিরছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
বুধবার ইন্দোনেশিয়া থেকে পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ ৭০ হাজার টন কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে ভিড়েছে। মাতারবাড়ি কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি-এর প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। এই কয়লা মেঘনা গ্রুপের আমদানি করা প্রথম চালান। কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় আগামী রোববার থেকে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুই ইউনিটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আবার উৎপাদনে ফিরে আসবে।
এর আগে কয়লার অভাবে ৩১ অক্টোবর থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৫৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুলাইয়ে চালু হয়েছিল, এবং অপর ৬০০ মেগাওয়াট ইউনিটটি ডিসেম্বরে চালু হয়। কেন্দ্রের জন্য ২২ লাখ পাঁচ হাজার টন কয়লা আমদানি করা হয়েছিল জাপানের সুমিতমো করপোরেশন এর মাধ্যমে। তবে, কয়লা সরবরাহের সমস্যার কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুমিতমো কর্তৃক কয়লা সরবরাহ শেষ হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি নতুন কয়লা ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট কনসোর্টিয়াম-কে সুবিধা দিতে ১০ মাস দেরি করেন। এই দেরির কারণে হাইকোর্ট গত জুলাইয়ে কয়লা আমদানির ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যার ফলে কয়লা আমদানিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
সবশেষে, চলতি মাসে কয়লা আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ৩-৪ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়ে তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে।
1 Comments
ভালো খবর!!!
ReplyDelete