গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
লেবাননে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখা দিলেও, গাজায় এখনও ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই প্রচেষ্টায় জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাইডেন বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য তুরস্ক, মিসর, কাতার, ইসরাইলসহ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন।
তবে, প্রশ্ন উঠেছে—হামাসকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি কিভাবে কার্যকর হবে, কারণ হামাস গাজায় তাদের শাসন ছাড়তে রাজি হবে না। ফলে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি আবারও আগের মতো অব্যাহত দরকষাকষিতে আটকে যেতে পারে।
বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলে, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন, লেবাননে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাইডেন এবং নেতানিয়াহু গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন উদ্যোগ শুরু করার বিষয়ে একমত হন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লেবাননে যুদ্ধবিরতি সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় একটি সমঝোতা সম্ভব। এটি হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তবে গাজায় ইসরাইলের লক্ষ্য অনেক বড়, এবং যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে, বাইডেন প্রশাসনের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে বাইডেন প্রশাসন গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়, কারণ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে যে বিশাল রক্তপাত হয়েছে, তার দায় তারা এড়িয়ে যেতে পারবে না।
1 Comments
দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়ায়!!!
ReplyDelete