Editors Choice

3/recent/post-list

করাচি-চট্টগ্রাম রুট চালু, নতুন দিগন্ত উন্মোচন

করাচি-চট্টগ্রাম রুট চালু, নতুন দিগন্ত উন্মোচন


পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথমবারের মতো লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে ৩২৮ কনটেইনার পণ্য পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে। করাচি-চট্টগ্রাম রুট চালু হওয়ায় দুই দেশের বাণিজ্যে নতুন গতিশীলতা সৃষ্টি হবে এবং সাশ্রয়ী ব্যয় ও সময়ের কারণে উভয় দেশের জন্য সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের শহিদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, এই নতুন রুটের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে পারবে। 

বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের গত তিন মাসের (আগস্ট থেকে অক্টোবর) কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮২টি ছিল, যা গত বছর একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬টি বেশি। এই প্রবৃদ্ধি ১০.২২ শতাংশ। পাশাপাশি, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে বন্দর থেকে ১,৬৪৩.৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১.৮৫ শতাংশ বেশি।

বন্দর চেয়ারম্যান জানান, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে বন্দরের ধারণ ক্ষমতার ৮৫ শতাংশ ব্যবহার হয়েছিল, তবে বর্তমানে এটি ৩৪ হাজার কনটেইনারে নামিয়ে আনা হয়েছে। আগে যেখানে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় ছিল ৬ থেকে ৮ দিন, এখন তা একদিনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকীকরণ এবং ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াও চলছে। বন্দরের ৮০ শতাংশ কাজ ডি-নথি পদ্ধতিতে সম্পাদিত হচ্ছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বহিঃনোঙরে অবস্থানরত জাহাজের জন্য নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

এছাড়া, বন্দরের মধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ২৩টি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, যা ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে। 

বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও এগিয়ে চলছে। কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণ এবং নাব্যতা বৃদ্ধি প্রকল্পে ইতোমধ্যে ১ দশমিক ৩৭ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুনে সম্পন্ন হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন কাজগুলো আগামী দিনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এটি একটি শক্তিশালী বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।


Post a Comment

1 Comments

  1. এটি দুই দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ!!!

    ReplyDelete