Editors Choice

3/recent/post-list

সীমান্ত সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 সীমান্ত সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মিয়ানমার সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সীমান্তে মাঝে-মাঝে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও বিজিবি এবং কোস্টগার্ড পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে, ফলে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত রয়েছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, সীমান্ত সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সোমবার দুপুরে টেকনাফের দমদমিয়ার নাফ নদীর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন জেটি ঘাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের জনবল বাড়ানো হয়েছে এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মোকাবিলায় সব বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। সীমান্তে অবৈধ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নতুন করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৬০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত বাহিনীর নজর এড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এসব রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে কিছু অসাধু দালাল জড়িত, যারা অর্থের বিনিময়ে এ কাজে সহায়তা করছে। তিনি বলেন, "এই দালাল চক্রকে প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন, না হলে তারা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশ মানবিক কারণে আগেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, তবে নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সরকার অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।"

টেকনাফের মাদক সমস্যা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, "টেকনাফ এক সময় মাদক চোরাচালানের জন্য কুখ্যাত ছিল, তবে মাদক নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য। মাদক সমস্যা শুধু আইন দিয়ে সমাধান সম্ভব নয়, এর জন্য স্থানীয় জনগণকে সচেতন হতে হবে এবং প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে হবে।"

তিনি আরও জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নাফ নদীতে মাছ ধরা পুনরায় শুরু করা যাবে এবং শাহপরীর দ্বীপের করিডোরও খুলে দেওয়া হবে, তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এর আগে দুপুরে হেলিকপ্টারে ঢাক থেকে টেকনাফ পৌঁছান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। পরবর্তীতে তিনি ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সীমান্ত নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং মাদক সমস্যা মোকাবিলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে জানিয়ে তিনি সীমান্তবাসীদের আশ্বস্ত করেন এবং বলেন, "আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, সরকার দেশের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় সব সময় তৎপর।"

সীমান্ত পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা সমস্যার মতো জটিল ইস্যু মোকাবিলায় সরকারের কঠোর অবস্থান এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


Post a Comment

1 Comments

  1. ইনশাআল্লাহ দেশে এখন যাকিছু হবে সবকিছুই ভালো হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

    ReplyDelete