নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে: তারেক রহমান

নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, "বিএনপির সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে জনগণ, আর রাজনৈতিক সকল ক্ষমতার উৎসও জনগণ। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে। মসজিদ কমিটি থেকে সংসদ পর্যন্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের সকল সমস্যা পর্যায়ক্রমে সমাধান করা সম্ভব।"

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নীলফামারীর দুরাছুরি দাখিল মাদরাসা মাঠে আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর পরিবারের কাছে বাসস্থানের চাবি হস্তান্তর ও ২৪ তারিখের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, আমরা বিএনপির পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার, শহীদ গোলাম রব্বানীর বড় মেয়ে রওনক জানান রিক্তা প্রমুখ।

তারেক রহমান আরও বলেন, “গোলাম রব্বানীরা চেয়েছিলেন দেশের মানুষের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে সরকার যেন বাধ্য থাকে। শহীদ পরিবারগুলো চেয়েছিল এমন একটি দেশ গড়ে তোলা যেখানে কৃষক বীজ ও সার পাবে, মানুষ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবা পাবে, এবং সড়ক নিরাপদ হবে। কিন্তু সে সময়ের স্বৈরাচার সরকারের মুখোশ ছিল এ বিষয়গুলোকে না শোনার। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা এখনও দেশে ছড়িয়ে আছে। এদের থেকে সচেতন থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি দেশ চাই যেখানে মানুষ তার সামাজিক নিরাপত্তা পাবে, এবং বিভিন্ন মতের পথের মানুষদের পরামর্শে দেশ পরিচালিত হবে। গোলাম রব্বানীর মতো মানুষের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তার মতো হাজারো মানুষ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে, আমরা চাই না তাদের ভাগ্য যেন গোলাম রব্বানীর মতো হয়।”

এছাড়া তারেক রহমান আরও বলেন, “বিএনপি এমন একটি সরকার চায়, যা জনগণের কথা বলবে এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করবে। যে দেশে আমি আছি, সেখানে সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়, এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে। মসজিদ কমিটি থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, সংসদ সবকিছুতেই নির্বাচিত প্রতিনিধি দিয়ে দেশ পরিচালিত হতে হবে।”

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আজ ছাত্ররা যখন সংবিধান বাতিলের কথা বলেন, তখন প্রশ্ন ওঠে কেন এটি বলা হচ্ছে। শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণাটি কি হবে? তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেই পদক্ষেপগুলোকে অবমূল্যায়ন করা যাবে না।"

অনুষ্ঠানে সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুম্মন বলেন, “নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা রক্ত দিয়েছে। খুনি পুলিশ সদস্যদের বিচার করা উচিত। ফায়ার ফাইটার নয়নের পরিবারের দাবি অনুসারে, যারা অর্থ পাচার ও অনিয়মের ফাইল পুড়িয়ে দেয়ার জন্য আগুন দিয়েছিল, তাদের বিচার করা উচিত।”

এদিনের অনুষ্ঠানে নীলফামারীর সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানীর পরিবারের হাতে নতুন বাড়ির চাবি তুলে দেয়া হয়। এছাড়া জুলাই বিপ্লবে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী এবং ঠাকুরগাঁও জেলার শহীদ পরিবারগুলোর মাঝে আর্থিক সহায়তা চেক হস্তান্তর করা হয়।