গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি: ল্যানসেটের গবেষণা
সম্প্রতি চিকিৎসাবিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট একটি গবেষণার মাধ্যমে দাবি করেছে, গাজায় ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবের চেয়ে প্রায় ৪১ শতাংশ বেশি। ইসরায়েলি হামলার জবাবে গাজায় হামলা শুরু হওয়ার পর এই তথ্যটি উঠে আসে।
ল্যানসেটের গবেষণায় জানানো হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৩৭,৮৭৭ জন নিহত হলেও, তাদের অনুসন্ধানে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৫,২৯৮ থেকে ৭৮,৫২৫ জনের মধ্যে থাকতে পারে। গবেষণায় বলা হয়েছে, গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৬৪,২৬০ জন হতে পারে, যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি।
এই গবেষণায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ৫৯ শতাংশ নারী, শিশু এবং বয়স্ক মানুষ ছিলেন। তবে, শুধুমাত্র বিমান হামলা ও বিস্ফোরণজনিত মৃত্যুর তথ্যই এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; স্বাস্থ্যসেবা বা খাবারের অভাবে মৃত্যু কিংবা নিখোঁজ মানুষের তথ্য এতে নেওয়া হয়নি। নিখোঁজদের বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গবেষক দলের প্রধান, লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের মহামারি বিশেষজ্ঞ জেইনা জামালউদ্দিন বলেন, “এটি এমন একটি ছবি যা শুধু ভাবায় না, কাঁদায়ও।”
শফিক রেহমানের বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের সাথে ছবির পর সমালোচনা
সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠ'র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের সাংবাদিকতার দিকপাল, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান। বিশেষভাবে তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আকবর সোবহানকে কেক খাইয়ে প্রথিতযশা এই সাংবাদিক শুভেচ্ছা জানান।
এই অনুষ্ঠানে শফিক রেহমান আকবর সোবাহানকে ‘অমায়িক ও অসাধারণ’ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে, এই ঘটনা নেট দুনিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পৃষ্ঠপোষক বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের সাথে এমন হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণ কেন?
এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন সাবেক জাতিসঙ্ঘ ও হোয়াইট হাউসে কর্মরত সাংবাদিক এবং বর্তমান রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারি। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “শফিক ভাই, আপনার যশ, খ্যাতি, আর বিত্ত-বৈভবের কোনো কমতি নেই। কিন্তু এমন একটি ছবি শুধু ভাবায় না, কাঁদায়ও। আমি নিশ্চিত নই, কোন মতলববাজরা আপনার কাঁধে চড়ে এই নব্বই উর্ধ্ব বয়সে এমন লোভাতুর পথে আপনাকে ঠেলে দিল?”
তিনি আরও যোগ করেন, “হাজারো তাজা প্রাণকে বুলেটে ঝাঁঝরা করে দেয়ার প্ররোচনাকারীর নিকট এই সমর্পণ- বড্ড কষ্টের, শফিক ভাই!”
1 Comments
খুবই দুঃখজনক!!!
ReplyDelete