বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার: বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি
শিল্পখাতে কাঁচামাল আমদানির জন্য বকেয়া বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সময়সীমা এক বছর বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানি করা শিল্পের কাঁচামাল, সার ও কৃষি উপকরণের এলসি খোলার ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
আগে, এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ছিল গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে অনেক উদ্যোক্তা ওই সময়সীমার মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি, যার ফলে নতুন করে এই সময়সীমা এক বছর বাড়ানো হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, এই ঋণ সুবিধা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ঋণ নিয়ে এলসি খোলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। ওইসব ঋণ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করতে হবে।
জানা গেছে, উদ্যোক্তারা বিদেশ থেকে সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট ও বায়ার্স ক্রেডিট নিয়ে শিল্পের কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করেন। এসব ঋণের পরিশোধ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্থ সংকট ও ডলার সংকটের কারণে অনেক উদ্যোক্তা সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। এর ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএম) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে।
বিটিএমএ’র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ পরিশোধের সময়সীমা এক বছর বাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের ফলে উদ্যোক্তারা ও ব্যাংকগুলো সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানি করা পণ্যের ঋণ পরিশোধ করতে এক বছর সময় পাবেন। একই সঙ্গে, আগামীতে এসব ঋণের আওতায় যেসব এলসি খোলা হবে, সেগুলোর বৈদেশিক দায়ও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শোধ করা যাবে। এতে উদ্যোক্তাদের নগদ অর্থের চাপ কমবে এবং ব্যাংকগুলোতে ডলারের চাপও হ্রাস পাবে। তবে, ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধি হলে বাড়তি সুদ পরিশোধ করতে হবে, যার ফলে পণ্যের আমদানির খরচ বাড়বে।
0 Comments