গাজায় যুদ্ধবিরতির পর বেরিয়ে আসছে লাশের সারি, উদ্ধার অভিযান চলছে

হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার গাজাবাসী তাদের বাড়িতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। তবে এলাকায় ফেরার পরই শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান, এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একের পর এক লাশ বেরিয়ে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, বলে জানানো হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও ৬২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৭ হাজার ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ১১ হাজার ৯১ জন আহত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় অনেক মানুষ আটকা পড়েছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। ফলে সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না।

ইসরাইলের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চলছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় ভবন ধসে এখন পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এসব ধ্বংসস্তূপ যদি এক জায়গায় একত্রিত করা হয়, তবে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এই ধ্বংসস্তূপ সরাতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে এবং এর জন্য প্রয়োজন হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকেরও বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত, এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে।