Editors Choice

3/recent/post-list

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় যাঁরা

 কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় যাঁরা

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে এখন প্রশ্ন উঠেছে, তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। ট্রুডো এবং তাঁর দলের নেতৃত্বে আসন্ন পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে কানাডার রাজনীতিতে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আলোচনায় এসেছেন।

এদিকে, লিবারেল পার্টির নতুন নেতা নির্বাচন নিয়ে চলমান গুঞ্জন আরও তীব্র হয়েছে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে যাঁরা এগিয়ে আছেন:

১. ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড
কানাডার সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, ট্রুডোর অন্যতম শক্তিশালী মিত্র হিসেবে পরিচিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে কানাডার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি পুনঃআলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। করোনা মহামারীর সময়ে দেশের আর্থিক দফতরের দায়িত্বও সফলভাবে পরিচালনা করেছেন। ফ্রিল্যান্ডকে একজন শক্তিশালী কূটনীতিক ও অর্থনৈতিক নেতা হিসেবে দেখা হয়, এবং তিনি আগামী দিনে লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে আছেন।

২. মার্ক কার্নি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অর্থনীতিবিদ এবং দুটি দেশের—ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর, মার্ক কার্নি আন্তর্জাতিক অর্থনীতি সম্পর্কে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তার নেতৃত্ব এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য তিনি দলের সদস্যদের মধ্যে এক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

৩. ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ক
বর্তমান আন্তঃসরকার বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ক, ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন। তিনি কানাডার ফেডারেল-প্রাদেশিক সম্পর্কের বিষয়ে গভীরভাবে সচেতন এবং দলের অভ্যন্তরে একজন অভিজ্ঞ নেতা। তাঁর দীর্ঘস্থায়ী সেবার ট্র্যাক রেকর্ড তাকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

৪. অনীতা আনন্দ
কানাডার বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনীতা আনন্দ করোনা মহামারীর সময়ে কানাডার ভ্যাকসিন রোলআউট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি সমস্যার সমাধানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম, এবং রাজনীতিতে নতুন মুখ হিসেবে তিনি অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন।

৫. ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেন
ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেন, কানাডার বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং শিল্প বৃদ্ধির জন্য পরিচিত। তাঁর আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং উদ্ভাবন শীর্ষক দৃষ্টিভঙ্গি ভোটারদের অনুপ্রাণিত করতে পারে। দলের ভাবমূর্তি পুনরুজ্জীবিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

৬. মেলানি জোলি
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি, যিনি বিশ্ব মঞ্চে কানাডার প্রতিনিধিত্ব করছেন। ৪৫ বছর বয়সী জোলি ইউক্রেন সফরসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে দক্ষ এবং বিদেশী নীতিতে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারদর্শী।

এছাড়া, লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা কেবল দলের নতুন নেতা নির্ধারণ করবে না, বরং কানাডার পরবর্তী ফেডারেল নির্বাচনের দিকনির্দেশনাও দেবে।


Post a Comment

1 Comments

  1. এখন শুধু দেখার বিষয় কে আসবে ক্ষমতায়!!!!

    ReplyDelete